নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেয়ার অযৌক্তিক দাবিতে বিভাগজুড়ে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের শেষ দিন আজ।
তবে গত দু'দিনের পরিস্থিতির চিত্র আজ অনেকটাই পাল্টে গেছে। সকাল থেকে রাস্তায় প্রচুর সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও মিনিবাস চলতে দেখা গেছে। বিকেলের দিকে ধর্মঘট পরিস্থিতি আর বুঝাই যাচ্ছে না। দুপুরের দিকে নগরীর অনেক পয়েন্টে যানজটও দেখা গেছে।
পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমর্থনে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও শ্রমিক সংগঠনের আহ্বানে মঙ্গলবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। তবে দুরপাল্লার যানবাহন আজও চলেনি।
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা সদরেও পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এদিকে এই ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগ হয়রানির শিকার সিলেটের সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুসছেন। সচেতন নাগরিকদের অনেকে প্রকাশ্যে বলছেন, কোয়ারি মালিকদের ইন্ধনে কয়েকজন পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতার স্বার্থে সিলেটবাসী জিম্মি করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খোলার দাবিতে এমন আন্দোলন আদালত অবমাননার সামিল।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি ফারুক মাহমুদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বেলা সিলেটের নেতৃবৃন্দসহ সচেতন নাগরিকদের দাবি, এ ব্যাপারে আদালত অবমাননার কারণে ধর্মঘট আহ্বান ও সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হউক। তারা বারবার নিজেদের স্বার্থে সিলেট বিভাগের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছেন।
এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে সিলেটের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের নজরদারি ছিলো।
ধর্মঘটের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল জানান, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় সিলেটের ট্রাক মালিকরা গভীর সংকটে। তাই কোয়ারি খোলার দাবিতে এ আন্দোলনে সব পরিবহনের শ্রমিক-মালিকরা সম্পৃক্ত।
সান নিউজ/এক/এনকে/এস