নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল পরিশোধে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা থেকে সময় বাঁচাতে ফাস্ট ট্র্যাক লেন চালু করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এ সুবিধার আওতায় সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের টোল প্লাজায় স্থাপিত হয়েছে দুই ফাস্ট ট্র্যাক লেন।
এই লেন ব্যবহারে সময় বাঁচার পাশাপাশি দূর হবে পরিবহনের যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের ভোগান্তি। উদ্বোধন করার এক সপ্তাহ পার হলেওই ফাস্ট ট্র্যাক লেন কী এবং এর ব্যবহার কীভাবে হয় সেটিই জানেন না সেতু দিয়ে পারাপারকারী চালকরা।
জানা যায়, এ সুবিধা পেতে পরিবহনগুলোকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট একাউন্টের আরএফআইডি কোড লাগবে। গাড়ির উইন্ডশিল্ডে লাগানো সেই আরএফআইডি কোড ব্যবহারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিশোধ হবে পরিবহনগুলোর সমপরিমাণ টোলের টাকা।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের টোলপ্লাজায় স্থাপিত দুই ফাস্ট ট্র্যাক লেন টোল বুথ উদ্বোধন করেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের টোলপ্লাজায় স্থাপিত দুই ফাস্ট ট্র্যাক লেনের টোল বুথ উদ্বোধন হয়েছে।
এখনও সেতুতে চলাচলরত যানবাহনগুলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট একাউন্টের আরএফআইডি কোডের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়নি। এ কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিমের টোলপ্লাজায় স্থাপিত দুই ফাস্ট ট্র্যাক লেনের টোল বুথগুলোর অনলাইনে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এ নিয়ে রংপুর থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাকচালক জাফর হোসেন বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক লেনের কাজ কী সেটি আমরা জানি না। এমনকি এটি সম্পর্কে কেউ আমাদের কিছু বলেননি। এ কারণে আগের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে নগদ ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে সেতু পার হচ্ছি। লাইনে না দাঁড়িয়ে এবং একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়ার পদ্ধতিটি চালু হলে তাদের ভীষণ উপকার হবে বলেও জানান তিনি।
বগুড়া থেকে ঢাকাগামী ভুট্টাবাহী ট্রাকের চালক বাবুল মিয়া বলেন, একদিন পরপর পণ্য নিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করছেন। প্রতিবারের মতো হাতে নগদ টাকা দিয়ে সেতু পার হয়েছেন। ফাস্ট ট্র্যাক লেন সম্পর্কে সেতু কর্তৃপক্ষ বা মালিকরা কেউ তাদের কিছু বলেননি। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এর ব্যবহার সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক লেন সম্পর্কে অবগতির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ ডিসেম্বর সেতু ভবনে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এসএ/এস