নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নেই কোনো কেমিস্ট, নেই অনুমোদনও। তবুও গবাদিপশুর ৪৯ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি কারখানায়। এক বিক্রয় প্রতিনিধিই বানাতেন ওইসব ওষুধ।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা এলাকার ‘লরেল ভিস্তা’ নামের ওই ওষুধ কোম্পানির কারখানায় অভিযান চালিয়ে সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে কামরুল হাসান চকদার নামে ওষুধ কোম্পানির ওই বিক্রয় প্রতিনিধিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তার বাড়ি জেলার নাসিরনগর উপজেলায়। তিনি আগে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, একটি ভাড়া বাড়িতে লোকচক্ষুর আড়ালে গবাদিপশুর ওষুধ বানাতেন কামরুল। বাজার থেকে পাওয়া চাহিদা অনুযায়ী ৪৯ ধরনের ওষুধ বানিয়ে সেগুলো ‘লরেল ভিস্তা’ কোম্পানির ওষুধ হিসেবে বাজারজাত করা হতো।
অভিযানের সময় কারখানায় কোনো কেমিস্ট পাওয়া যায়নি। এছাড়া মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্যাকেট পরিবর্তন করে নতুন প্যাকেটে ভরে বিক্রি করা হতো।
সান নিউজ/এনকে/এস