নিজস্ব প্রতিনিধি, আশুলিয়া : ছোট্ট ফাতেমা হাল ধরেছেন বাবার চা দোকানের ব্যবসার। সংসারের অভাব ও বাবার কষ্ট লাঘবের জন্য সাত বছর বয়সী শিশু ফাতেমা বাবা কামরুল হাসানের চায়ের দোকানের কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নিয়মিত।
ঢাকার ধামরাইয়ের পৌরশহরের সরকারি হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রেটের সামনে ছোট্ট চায়ের দোকানটিতে বেশির ভাগ সময়ই ফাতেমাকে দেখা যায় চা বিক্রি করতে।
ছোট্ট ফাতেমা বলে, 'বাবা আগে একটা ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতো। করোনার লাইগা চাকরি থাইক্কা বাদ দিয়া দিছে। বাবার একলা একলা দোকানে কাজ করতে কষ্ট হয়। তাই আমি সাহায্য করি। পড়ালেখার কথা জানতে চাইলে বলে, আমি এখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি। স্কুল বন্ধ তাই দোকানে বসি।’
ফাতেমার বাবা কামরুল হাসান বলেন, অভাবের কারণে ১০ বছর আগে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর থেকে এই এলাকায় (ঢাকার ধামরাই) আসছিলাম। এরপর বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে চাকরি করছি। করোনার জন্য চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দিছে। সংসার চালাতে না পেরে অনকে কষ্টে চায়ের দোকান দিছি। প্রতিদিন যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই। পরিবার বড় হওয়ায় বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। অনেক সময় এই ছোট মেয়েটা সাহায্য করে। এমনভাবেই জীবন সংগ্রামের কষ্টের বর্ণনা দেন তিনি।
সান নিউজ/কেটি