নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দাসউরায় কিশোর অপরাধী রেদওয়ান দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। তার নানান অপকর্মে এলাকাবাসী আতংকের মধ্যে আছেন। গত মাসে সে একই এলাকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আহবাবুর রহমানের প্রাণনাশের চেষ্টা করে। এসব ঘটনায় মাদ্রাসা থেকে রেদওয়ানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
জানা যায়, দাসউরা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র রেদওয়ান। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখার সময় থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রায়ই ধারালো ছুরি দিয়ে সহপাঠীদের আক্রমণ করতো।
এসব ঘটনায় শিক্ষকরা কথা বললে সে তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। শেষ পর্যন্ত শিক্ষক ও অভিভাবকরা তাকে অস্ত্রসহ মাদ্রাসায় আটকে রাখেন। পরে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় রেদওয়ানকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে, রেদওয়ানের মারমুখি আচরণের কারণে গত বছর তাকে মাদ্রাসা থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দেয়া হয়। কিন্তু আশপাশের কোন স্কুল তাকে ভর্তি করেনি।
এরপর ফৈয়াজুর রহমান তার ছেলেকে নিয়ে ফের মাদ্রাসায় যান এবং ভবিষ্যতে বিরূপ আচরণ করবে না মর্মে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। পরে রেদওয়ানকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করা হলেও তার অপরাধ কমেনি, বরং বাড়তে থাকে।
সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর কিশোর গ্যাং লিডার রেদওয়ান প্রতিবেশি আহবাবুর রহমানের (৯) মুখে কাপড়গুজা দিয়ে ইউপি’র পরিত্যাক্ত কক্ষে হাত-পা বেঁধে খড়ের নীচে চাপা দেয় এবং নির্যাতন করে। এ ঘটনায় রেদওয়ানকে আসামী করে ভিকটিমের চাচা আনছার হোসেন থানায় মামলা করেন (১০, ১৩/১১/২০)।
অপরদিকে, গত ১৪ নভেম্বর শিক্ষক স্টাফ কাউন্সিলের সভায় রেদওয়ানকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর পরদিন ম্যানেজিং কমিটির সভায় রেদওয়ানকে মাদ্রাসা থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
সোমবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম মেরাব বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কিশোর অপরাধী রেদওয়ানের ধারালো ছুরি এখনো মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছে।
সান নিউজ/এক/এনকে/এস