নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ : কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে এক ‘রোহিঙ্গা মাদক কারবারি’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লাথোরঘোনার পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি থ্রি কোয়ার্টার ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারলেও সে রোহিঙ্গা বলে ধারণা করছে র্যাব। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর হোয়াইক্যং ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসপি শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে লোথোরঘোনা পাহাড়ে যায় র্যাবের একটি টিম। অবস্থান টের পেয়ে মাদক কারবারিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও গুলি চালালে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা, অস্ত্র ও একজনের মরদেহ পাওয়া যায়।’ এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজারে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-১৬) চেকপোস্টে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। ওই সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ গ্রেফতার করে। সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর কক্সবাজার পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া শুরু হলে 'বন্দুকযুদ্ধ' থেমে যায়। দীর্ঘ সময় পর ফের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মোট ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সান নিউজ/এসএম