নিজস্ব প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। পৌষের শুরু থেকেই শুরু হয়েছে শীতের দাপট। শীতের যে প্রকৃত চিত্র এখন ফুটে উঠতে শুরু করেছে। গত দুই দিন যাবত এক অঙ্কে তাপমাত্রা বিরাজ করছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এই জেলায়।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাত দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসে। গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি, গত বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
এই সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায়। তিনি বলেন, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গেলো ১৬ ডিসেম্বর বুধবার ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ১৭ ডিসেম্বর ২১ ডিগ্রি এবং গতকাল শুক্রবার ১৮ ডিসেম্বর ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে বলে জানায় জিতেন্দ্রনাথ রায়।
হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় কাবু হয়ে যাচ্ছে এখানকার জনগণ। রাত থেকে ভোর, ভোর থেকে বেলা নয়টা পর্যন্ত কুয়াশার পরিমাণ বেশি থাকে। কখনও আবার বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে।
গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে দিনের অধিকাংশ সময়ে সূর্যের দেখা মিলছে না। ভোর বেলা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। দুপুরের পর অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তীব্রতা নেই। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় শীতের প্রকোপ। ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে রাতে ঘন কুয়াশায় রাস্তা-ঘাট ঢেকে যায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দিকে শীতের প্রকোপ বেশি। উপায় না পেয়ে বাড়িতে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে সাধারণ মানুষ। শহরের অলিতে-গলিতেও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান জানান, করোনার কারণে যদিও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম। শীতজনিত রোগে এখন পর্যন্ত গত বছরের এই সময়ের তুলনায় রোগী ভর্তি হয়নি তবে প্রতিদিনই হাসপাতালের বহিঃবিভাগে শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি জনগণকে মাস্ক ব্যবহার এবং সম্ভব হলে শিশুদেরকে ঘন কুয়াশার সময় ঘর হতে বের না করা পরামর্শ দিয়েছেন।
সান নিউজ/কেটি