নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার : মহামারি করোনার মধ্যেও পর্যটকে মুখর বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সকালে সৈকতে গোসল, বিকেলে বালুচরে দাঁড়িয়ে অস্তগামী রাঙা সূর্য অবলোকন, পাহাড়ি ঝরনা, মেরিনড্রাইভ সড়ক পরিদর্শন করে সময় পার করছেন তারা।
এতে রমরমা পর্যটন ব্যবসাও। আর পর্যটকের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে, পর্যটকদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতাই নেই।
কক্সবাজারে ঘুরতে আসা এক পর্যটক জানান, করোনার মধ্যেও সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসছি। কক্সবাজার থেকে সাগরপথে সেন্টমার্টিন যাত্রা সেই অনুভূতিই আসলে অন্যরকম। প্রকৃতি যে অসাধারণ রূপ দেখা যায়, আসলেই মুগ্ধতা ছড়ায়। আর সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য তো বলা অপেক্ষা রাখে না।
পর্যটকের ভিড়ে রমরমা পর্যটন ব্যবসা, যা আগামী আরও দুই মাস অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আবু তালেব শাহ বলেন, রেসপন্স পাচ্ছি খুব ভালো। আমরা আশা করছি আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই রেসপন্স বজায় থাকবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর এবং দিক-নির্দেশনা দেয়া আছে। তা ছাড়া ফিজিক্যালিও নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন অর্ধশতাধিক লাইফ গার্ড কর্মী।
সান নিউজ/কেটি/এস