নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার : যান্ত্রিক জীবনের জঞ্জাল ঢুকে পড়েছে প্রকৃতিতে। তাই সমুদ্র রক্ষায় দশমবারের মতো সেন্টমার্টিন্সে হয়ে গেল কোস্টাল ক্লিনিং প্রোগ্রাম। সাড়ে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রায় এক হাজার কেজি বর্জ্য সংগ্রহ করে।
সেন্টমার্টিন্সের জলরাশিতে আকাশও যেন সীমা হারায়। অপার্থিব সৌন্দর্য ভুলিয়ে দেয় ইট-কাঠের শহর। কিন্তু এখানেও ঢুকে পড়তে শুরু করেছে শহুরে জঞ্জাল।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের গবেষণায় বলা হয়েছে, একটা সময় আসবে যখন সমুদ্রে মাছের চেয়ে প্লাস্টিক বর্জ্য থাকবে বেশি। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ২০৫০ সাল নাগাদ ৭৫০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ভাসবে।
এরই মধ্যে সমুদ্র বাঁচাতে কাজ শুরু করছে বেশ কিছু সংগঠন। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন্সে ওশেন কনজারভেন্সি ও কোকাকোলার আয়োজনে দশমবারের মতো হয়ে গেলো কোস্টাল ক্লিনিং। প্রায় তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী এতে অংশ নেন। সচেতনতা বাড়াতে এতে যুক্ত করা হয় স্থানীয় শিশুদের।
কোস্টাল ক্লিনিংয়ে অংশ নেয়া একজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্যাকেট পাচ্ছি, চিপসের প্যাকেট, জুসের প্যাকেট পাচ্ছি।
তিন ঘণ্টায় কুড়িয়ে জমা করা হয় প্রায় এক হাজার কেজি বর্জ্য।
ওশান কনজারভেটির কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুনতাসির মামুন বলেন, এখানে যে পরিমাণ মানুষ আসে, সে পরিমাণই বর্জ্য তৈরি হয়। এই দ্বীপে সেই পরিমাণ ময়লা ডাম্প করার ক্যাপাসিটি নেই।
গত দশ বছরে এই আয়োজন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য।
সান নিউজ/কেটি