নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার : বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বালু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এটির নির্মাণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের দিন মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ ভাস্কর্য দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভাস্কর্য নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করছে ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার নামে একটি সংগঠন। নির্মাণ কাজ করেছেন কামরুল হাসান শিপনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ১০ জন সাবেক শিক্ষার্থীর একটি দল। নির্মাতারা বলেছেন, প্রায় ৬ ফুট উচ্চতা ও ১৪ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যটি হবে এযাবৎকালে বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে বড় বালুর ভাস্কর্য।
কক্সবাজার সৈকতে তর্জনী উঁচিয়ে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ওপরে লেখা আছে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার।
ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারে সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, ‘ধর্মান্ধ এবং উগ্রবাদীদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, তারা যেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেয়া কিংবা অপসারণের মতো ধৃষ্টতা না দেখায়।’
তিনি বলেন, প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর বালুর তৈরি ভাস্কর্যটি নির্মাণ হয়েছে।
এদিকে, ভাস্কর্য নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিজয় দিবসকে সামনে রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ ঘটনার প্রতিবাদে আমাদের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ।
সান নিউজ/কেটি/এস