নিজস্ব প্রতিনিধি, বগুড়া : বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করতে গেলে উল্টো ওই নারীকে যৌনকর্মী হিসেবে আদালতে চালান দেওয়ায় শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ্য (ওসি) ও উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারীর পক্ষে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমারকে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলাটিকে আমলে নিয়ে প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলারেএজাহারে বলা হয়েছে, শিবগঞ্জ উপজেলার সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের এক কলেজ ছাত্রের সঙ্গে বাদীর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলের পরিবার বিবাহতে রাজি না হওয়ায় বাদী তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। বিয়ের পরও সেই ছেলে বাদীর মেয়ের সঙ্গে ফোনে সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। বাদীর মেয়ের স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ২৪ নভেম্বর দুপুরে ছেলেটি তাদের বাড়িতে ঢোকে এবং মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বাড়িতে ঢুকে দুজনকেই আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমার রায় সেই কলেজ ছাত্র ও বাদীর মেয়েকে আটক করেন। থানায়ে এসে ওই ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি।
পরে দুজনকে দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ এনে আদালতে চালান দেওয়া হয়। বিচারক দুজনকেই জামিনে ছেড়ে দেন। বাদীর অভিযোগ, এসআই রতন কুমার ১০ হাজার টাকা নেওয়ার পরেও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা না নিয়ে তার মেয়েকে পতিতা হিসেবে চালান দিয়ে তাদের সম্মান নষ্ট করেছেন।
এ কারণে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। বাদীর আইনজীবী আব্দুল বাছেদ জানান, ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজত মৃত্যু নিবারন আইনের ১৩ ও১৫ ধারা অনুযায়ী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমারের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সান নিউজ/এসএ