নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা : শিশু বিবাহের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ভোলায় ঈমাম কাজীদের দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা সদর উপজেলার হল রুমে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
প্রশিক্ষণে ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাজী ও ঈমামরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে বাল্যবিয়ে রোধে ভূমিকা রাখার জন্য সকলকে অঙ্গিকার করে শপথ পাঠ করানো হয়।
ইউনিসেফ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, কোস্ট ট্রাস্ট এর শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা তরান্বিতকরণ (এপিসি) প্রকল্প এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।
এসময় ঈমাম ও কাজীরা বাল্য বিয়ে রোধে ভূমিকা রাখার জন্য অঙ্গিকার করেন। আইনগত শিশু বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তাই সকল বিয়ে নিবন্ধন করার আহবান জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কোস্ট ট্রাস্ট এর টিম লিডার রাশিদা বেগম, পুলিশের এস আই হানিফ, কোস্ট ট্রাস্ট এর (এপিসি) প্রকল্পের প্রকল্প সম্মনয়কারী মিজানুর রহমান, এলজিসি প্রকল্পের জেলা সম্মনয়কারী আব্দুস সালাম, এপিসি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প সম্মনয়কারী দেবাশীষ মজুমদার, ঈমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা বেলায়েত হোসেন, কাজী সমিতির সভাপতি হাসনাঈন আহমেদ, কাজী মহিবুল্লাহ, এডভোকেসি এন্ড মিডিয়া অফিসার আদিল হোসেন, বাল্য বিয়ে, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারী শাহারিয়ার জিলন, পিআর লিডার ইমা আক্তার, মিরাজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য ইউনিসেফ এর জরিপে দেশের ১৫.৫ শতাংশ শিশুর বিয়ে হয় ১৫ বছর এর আগেই। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ঐ বয়সে শিশু বিবাহ হচ্ছে ১৬.২ শতাংশ। ভোলাতে এই হার আরও বেড়ে ১৮.৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে শিশু বিবাহের হার ছিলো ৬০.৩ শতাংশ।
সান নিউজ/আইআর/এনকে/এস