নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : বৃহত্তর সিলেটের পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে দ্বিতীয় দিনের মতো পণ্যপরিবহন ধর্মঘট চলছে।
বুধবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার এই ধর্মঘট শুরু হয়। সিলেটের সব পাথরকোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে এ কর্মসূচি।
ধর্মঘটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ জানান, এক বছর ধরে সিলেটের পাথরকোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় কয়েক লাখ মালিক-শ্রমিক মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। অনেকেই ব্যাংক ঋণে দেউলিয়া। অথচ কোয়ারিগুলো খুলে দিতে হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনতে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি।
এদিকে, এ ধর্মঘটের কারণে বুধবার সকাল থেকে সিলেটের প্রবেশপথ শেরপুর, লালাবাজার ও দক্ষিণ সুরমায় অবস্থান নিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আর তাই কোনো পণ্যবাহী গাড়ি নগরীতে প্রবেশ করতে পারছে না।
৪৮ ঘণ্টার এই ধর্মঘটে সর্মথন জানিয়ে বুধবার জৈন্তাপুরের ঐতিহাসিক বটতলায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জৈন্তাপুর ট্রাক চালক কমিটির আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সুনিল দেবনাথের সভাপতিত্বে ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সাংবাদিক সুহেল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্টিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন জৈন্তপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল, জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শ্রী আবু সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. আমির উদ্দিন, বাহারউল আলম বাহার, তোফায়েল আহমদ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শওকত আলী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন, ১৭ পরগনার মুরব্বী আব্দুল হক, বাবুল আহমদ বান্ডারী, মাসুদ আহমদ, কুতুব উদ্দিন, সমছু মিয়া প্রমুখ।
সান নিউজ/এক/কেটি