নিজস্ব প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় যুবকের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শিপন আলী ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ আলমগীরের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) সকালে হত্যার সঙ্গে জড়িত খাদিমপুর গ্রাম থেকে সাকিব নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার সাকিব আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের ইকতার আলি বিশ্বাসের ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, আলমগীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিপন আলী শনিবার রাতে আলমডাঙ্গা আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ওই সময় শিপন জানায়, সাকিবের মায়ের সঙ্গে পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। মরদেহ গুম করার জন্য শিপন, সাকিবসহ কয়েকজন মিলে পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রেখে চলে যায়। শিপনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে খাদিমপুর গ্রাম থেকে পুলিশ নিহত আলমগীরের চাচাতো ভাই সাকিবকে গ্রেফতার করে। এ সময় শিপনের বাড়িতে থাকা আলমগীরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুলিশ উদ্ধার করে।
শিপন ও তার স্ত্রী ইভাকে রোববার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শিপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর নিখোঁজ হয় আলমডাঙ্গা খাদিমপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন (২২)। নিখোঁজের ৫৬ দিন পর তার কঙ্কাল উদ্ধার হয় গ্রামের একটি পুকুর থেকে। প্যান্ট দেখে তার বাবা ও ভাই শনাক্ত করেন।
সান নিউজ/কেটি/এস