নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রবাসে গণধর্ষণ মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণ ও দণ্ডবিধির ধারায় আদালতে পৃথক দু'টি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রানীল ভট্ট্যাচার্য।
পরে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এক আদেশে মামলাটি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন।
এ মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এতে উল্লেখ করা হয়, ছয়জন সরাসরি ধর্ষণে অংশ নেয়। তাদের সহযোগিতা করে আরও ২ জন।
এদিকে দণ্ডবিধির ধারায় চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগপত্রের উপর ২৮ ডিসেম্বর শুনানী হবে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। পরে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানাস্তর হবে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) এসআই আব্দুল মজিদ খাঁন। তিনি বলেন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, অপর অভিযোগপত্র (চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে) শুনানী আগামী ২৮ ডিসেম্বর সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানী হবে।
মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, মিসবাউল ইসলাম রাজন ও বহিরাগত মো. আইনুদ্দিনকে সরাসরি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল হাসান ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সান নিউজ/এক/এনকে/এস