নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের মামলা করায় ধর্ষিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার আসামি ইউপি সদস্য হওয়ায় চেয়ারম্যান ও তদন্ত কর্মকর্তার যোগসাজশে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়।
সালিশি মীমাংসায় রাজি না হওয়ায় সমাজচ্যুত করা হয়েছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার এক পরিবারকে। পুলিশ বলছে, সালিশ বৈঠক করার চেষ্টাকারীদের চিহ্নিতের কাজ চলছে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক যুবতিকে একমাসেরও বেশি সময় আটকে রেখে ধর্ষণ। মেয়ে ধর্ষণের বিচার দাবিতে মামলা করার অপরাধে ৪ মাস ধরে একঘরে বগুড়ার গোপালনগরের এই পরিবার। অভিযোগ, অপহরণের পর এক মাসের বেশি সময় আটকে রেখে, কিশোরীকে ধর্ষণ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ ২ জন।
মামলা করার সপ্তাহখানেক পর মেয়েকে ফিরে পেলেও প্রতিনিয়ত দেয়া হচ্ছে হুমকি-ধমকি। এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবীব টাকার বিনিময়ে আপোসের প্রস্তাব দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারটিকে একঘরে করার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি, এলাকার কেউ। অভিযুক্ত মাসুদ রানার বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলেনি কারও। যদিও ইউপি সদস্য বাবুকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, মামলা তুলে নিতে যারা মীমাংসার চেষ্টা করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবীবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সান নিউজ/এসএ