নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেটের কানাইঘাটে এক সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম মজনুফা বেগম (২৩)। তিনি কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সাউদ গ্রামের রইছ উদ্দিনের মেয়ে। তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার স্বামী হবিব আহমদকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। তিনি একই গ্রামের মছদ আলীর ছেলে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আত্মহত্যা করেন মজনুফা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার এবং স্বামী হবিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাদ চলছে। রোববার হবিবকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ওসি শামসুদ্দোহা।
মজনুফার পারিবারিক সূত্র জানায়, এই দম্পতির আড়াই বছরের এক ছেলে আছে। হবিব আহমদ বিয়ের পর থেকেই মজনুফাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন।
তাদের অভিযোগ, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে হবিব। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিনকে জানান মজনুফা আক্তার আত্মহত্যা করেছে।
বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভাই হারুন রশিদসহ পরিবারের লোকজন হবিবকে মুলাগুল বাজারে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হবিবকে আটকের পাশাপাশি নিহতের লাশ বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য শনিবার সকালে লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম সান নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রোববার তাকে আদালতে তোলা হবে।
এদিকে হবিব আহমদের পরিবারের দাবী, মজনুফা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার সময় তার ঘরের দরোজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।
সান নিউজ/এক/এনকে