মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
হোম-কোয়ারেন্টিনে না থাকার দায়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ঘিওরে দুই বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দিয়েছে প্রশাসন। এর আগে আরও একজনকে এই জরিমানা করা হয়। এ নিয়ে মোট ৩ জনকে এ দণ্ড দেয়া হলো।
১৭ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ দণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের মধ্য রৌহা গ্রামের ফকির আলীর পুত্র ইরাক প্রবাসী মঙ্গুল হোসেন ও ঘিওর উপজেলার কুসুন্ডা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী পান্নু মিয়া। তাদরেকে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এর আগে ১৫ মার্চ রোববার সাটুরিয়া ইউনিয়নের তারা মিয়ার ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী লাল মিয়াকেও একই কারণে জরিমানা করা হয়েছিলো।
বিদেশ থেকে আসার পর হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ অমান্য করে এলাকায় ঘোরাফেরা করায় তাদের এই দণ্ড দেয়া হয়।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাটুরিয়ায় ৬১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। দেশের বাইরে থেকে আসার পর আমরা ১৪ দিন নিজ বাড়ির বাহিরে না যাওয়ার জন্য বলে আসছি। প্রতিদিন টিম নিয়ে চায়ের দোকান ও প্রবাসীদের বাড়ি গিয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করছি।
তিনি আরো বলেন, এর পরও কিছু প্রবাসীর প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়ানোর খবর পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যাবস্থা নিচ্ছি। তারপরও যদি সরকারি আইন উপেক্ষা করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত উপজেলার সর্বত্রই মানুষজনকে সচেতনাতামূলক পরামর্শ দিয়ে আসছি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে খবর পেলাম উপজেলা কুসুন্ডা এলাকায় একজন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করে বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। পরে ঘটনার সত্যতা হাতে নাতে পাওয়ায় তাকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং ১৪ দিন বাড়ি কিংবা ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সর্বমোট ৩২৭ জন প্রবাসী মানিকগঞ্জে ফিরেছেন। তবে এদের অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার আইন মানছেন না।
ফলে বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরেই প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন তাদের জন্য শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।
সান নিউজ/সালি