নিজস্ব প্রতিনিধি, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের চরশেখর ও দুর্গাপুর গ্রামে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে প্রায় ১০ জন আহত ও ১৫ টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রইসুল ইসলাম পলাশ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে শনিবার সকালে আবুল কালাম আজাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পলাশ সমর্থক দুর্গাপুর গ্রামের ফরহাদ শেখ, তোকান মিয়া, ওহিদ শেখ, মোস্তফা শেখ, হাসু শেখ, খায়ের শেখ ও বাবলু শেখসহ প্রায় ১৫টি বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গাপুর গ্রামের বাবলু শেখ। এসময় বাধা দিতে গেলে প্রায় ১০ জন আহত হয়। মারাত্মক আহতরা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে রইসুল ইসলাম পলাশ বলেন, আবুল কালাম আজাদের সমর্থক বাকিয়ার দফাদার, পান্নু, ও জিয়ার নেতৃত্বে শনিবার সকালে আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুদে টাকার লেনদেন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। আমার কোনো লোকজন কারও বাড়িঘর ভাংচুর বা লুটপাট করেনি। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন অপপ্রচার করছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/কেএস/এনকে