নিজস্ব প্রতিনিধি, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বড়গাঁ গ্রামের রাজপ্রসাদ পালের স্ত্রী মালতী রানী পাল। তিনি মৃৎশিল্পের পেশার মাধ্যমে তার ও তার পরিবারের ভাগ্যোন্নয়ন করেছেন।
মৃৎশিল্পের কাজ করেই মালতী পাল ছেলেদের করেছেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। এই পেশায় আঁকড়ে থেকেই বড় ছেলের ভালো চাকরিও জুটিয়েছেন। এই মৃৎশিল্পের পেশা বা পালের কাজকে অনেকেই ছোট মনে করেন। কিন্তু মালতী পালের এক ছেলে পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক হওয়ার পরও তিনি পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চান না। পরিবারে স্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বে তিনি বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে স্বামীর বংশানুক্রমিক পেশাকে বেছে নিয়েছেন।
মালতী রানী পাল জানান, তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে উপ-পুলিশ পরিদর্শক, আর ছোট ছেলে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে ভাল চাকরির আশায় এখন ঢাকায় বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মালতী এখন মাটি দিয়ে পরম যত্নে দইয়ের টোপা (হাঁড়ি) তৈরি করেন। সপ্তাহে তিন দিন টোপা তৈরি করেন। একদিনে ৫০/৬০টি দইয়ের টোপা তৈরি করা যায়। প্রতিটি টোপা শুকনো অবস্থায় না পুড়িয়ে চার টাকা দরে অন্য পালের নিকট বিক্রি করেন।
মালতী রানী পাল আরও বলেন, মাটির এ কাজকে ভালবেসে ফেলেছি। তাই এখন ছাড়তে পারছি না। বড় ছেলে ভাল চাকরি করে। এখন মাটির কাজ না করলেও চলে। তবু এই জাত পেশাকে ছাড়তে মন চায় না।
সান নিউজ/কাসি/কেটি