নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিনজন গবেষক খুলনাঞ্চলে চাষকৃত স্থানীয় জাতের তিনটি ধানের টিস্যুকালচারের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি ধানের জাত উদ্ভাবনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন।
নতুন এই উদ্ভাবনতব্য ধানের সারিটি KUAT- ১৭০১ নামে মূল্যায়িত হচ্ছে। বর্তমানে এ সারিটির ভৌতিক, রাসায়নিক ও মলিকুলার বিশ্লেষণের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর বৃহত্তর খুলনা ও যশোর জেলায় বিভিন্ন জায়গায় মাঠপর্যায়ে সারিটি মূল্যায়ন করা হবে এবং পরবর্তীতে চূড়ান্তভাবে জাত নির্বাচনের জন্যে আবেদন জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) এই গবেষণা প্লটের ধানটির নমুনা ফসল কর্তন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে নমুনা ফসল কর্তন উদ্বোধন করবেন।
এ সময় উপস্থিত থাকবেন- জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী, এগ্রোটেকনলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাশ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে চাষাধীন স্থানীয় জাতগুলো যদি যথাযথ মূল্যায়ন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে তা অচিরেই চাষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। স্থানীয় ধানের এ জাতগুলো হচ্ছে মূল্যবান জিনের ভান্ডার, যা biotic, abiotic resistant এবং মূল্যবান ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। এ তথ্য এবং সত্য মাথায় রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন স্থানীয় অনুন্নত নানা জাতের ধান সংরক্ষণ, মূল্যায়ন ও উন্নতকরণের প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে।
এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে ২০১৭ সালে এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্লান্ট ব্রিডিং এবং বায়োটেকনোলজি ল্যাবরেটরিতে খুলনা অঞ্চলের তিনটি জাতের ধান (রাণীসেলুট, কাচড়া এবং চিনিআতপ) টিস্যুকালচার পদ্ধতিতে দেহ কোষে মিউটেশন (সোমাক্লোন) ঘটিয়ে উন্নত জাত তৈরির লক্ষ্যে এই গবেষণা শুরু হয়।
সান নিউজ/কেটি/এস