নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা : ভোলার দৌলতখানে আওয়ামী লীগ নেতার ঘাটে মাছ বিক্রি না করায় এক জেলের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় গুরুতর আহত মো. বশির মাঝিকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকালে দৌলতখান উপজেলার সুবেধার মোড় মাছ ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে দৌলতখান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত সূত্রে জানা যায়, দৌলতখান মেঘনা নদীতে মাছ ধরে বশির মাঝি স্থানীয় রিপন মিয়ার ঘাটে মাছ বিক্রি করে। ওই মাছ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মৃধার ঘাটে বিক্রি না করায় তার ছেলে শাকিল ও ভাতিজা নাঈম ক্ষিপ্ত হয়ে বশির মাঝির উপর হামলা চালিয়ে এলোপাথারীভাবে তাকে মারধর করে। এসময় বশির মাঝির সঙ্গে থাকা মাছ বিক্রির ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় শাকিল।
বশির মাঝির আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বশির মাঝিকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দৌলতখান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে আহতের পরিবার জানিয়েছে। তারা বশির মাঝির উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মৃধা বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গতরাতে বশির মাঝি মেঘনা নদীতে নাঈমের ট্রলারের কাছে পুতে রাখা মাছ ধরার খুটা উঠিয়ে ফেলে দেয় এবং নিশানা প্লাক পুড়িয়ে ফেলে। বিষয়টি বশির মাঝিকে নাঈম জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় নাঈম তাকে একটি চর (থাপ্পর) দিয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি। আর আমার ঘাটে মাছ বিক্রি নিয়ে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।
দৌলতখান থানার ওসি মো. বজলার রহমান জানায়, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/আইআর/এনকে