নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত থেকে শুরু করে প্রায় সব রিপোর্টেই এসেছে অতিরিক্ত আঘাতের কথা। সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত যুবক রায়হান হত্যাকাণ্ডের ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের ভিসেরা রিপোর্টেও এলো এই নির্মম সত্যটা। অতিরিক্ত আঘাতেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ নভেম্বর রিপোর্টটি পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ।
এর আগে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে রিপোর্টটি ওসমানীতে আসে। অতিরিক্ত আঘাতেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে এ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টটি এখন মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের হাতে।
পিবিআই সিলেটের পরিদর্শক মো. আওলাদ সান নিউজকে বলেন, প্রথম ময়না তদন্তের ভিসেরা রিপোর্টটি পেয়েছি। এ রিপোর্টও বলছে, অতিরিক্ত আঘাতেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে নগরীর আখালিয়ার রায়হান আহমদ (৩৪) কে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে রাতভর নির্যাতন করে পুলিশ। পরদিন সকালে ওসমানী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সেদিন রাতেই তার স্ত্রী পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা দায়ের করেন। ময়না তদন্তে তার শরীরে শতাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সংশ্লিস্ট চিকিৎসক। ভিসেরা রিপোর্টেও তার সত্যতা নিশ্চিত হলো। পরে ১৫ অক্টোবর কবর থেকে লাশ তুলে ২য় দফায় রায়হানের ময়না তদন্ত করা হয়।
১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর থেকে লাপাত্তা ছিলেন আকবর।
তাকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় সিলেটে। ৯ নভেম্বর কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৭ দিনের রিমান্ড শেষে ১৭ নভেম্বর আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানো হয়। এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত আকবরসহ মোট ৪ পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
সান নিউজ/এক/এস