নিজস্ব প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা): গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের ছিঁটা, গাঁড়া বা পাতা পেঁয়াজ বাজারে। গ্রাহকের অনেকটা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে পাতা পেঁয়াজ দিয়ে তাই মরা তিস্তার চরাঞ্চল এখন পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য সম্ভাবনাময়। অনেকেই মনে করেন চরাঞ্চলে পেঁয়াজ চাষাবাদের প্রকল্প তৈরি করে আগাম জাতের পেঁয়াজ রোপন করলে তা বাজারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
ঠিক যে মূহুর্তে গোটা দেশে পেঁয়াজের দিগুণ দাম এবং সংকটময় অবস্থানে ছিল সেই মূহুর্তে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা দিয়েছে চরাঞ্চলের ছিঁটা পেঁয়াজ বা গাঁড়া পেঁয়াজ। যা সাধারণ গ্রাহকদের অনেকটা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার গ্রামের আব্দুল হামিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমি প্রতিবছর ১ হতে ২ বিঘা জমিতে ছিঁটা ও গাঁড়া পেঁয়াজের আগাম চাষাবাদ করে থাকি। এতে করে বেশি দামে বিক্রি করতে পারি। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি পাতা পেঁয়াজ ৬০ হতে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আমি মনেকরি আগামী ১০ হতে ১৫ দিনের মধ্যে তিস্তার চরাঞ্চলের পাতা পেঁয়াজ উপজেলার সাধারণ গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ হতে ৮গুণ, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। সরেজমিন উপজেলার তারাপুর, বেলকা হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে ফিরে দেখা গেছে ছিঁটা পেঁয়াজের চাষাবাদ ব্যাপক হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে ২০০ হেক্টর জমিতে ছিঁটা পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়েছে। তবে এর পরিমাণ আরও বেশি হবে।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহ হতে চরের ছিঁটা পেঁয়াজ আর গাঁড়া পেঁয়াজে বাজারের আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০ হতে ১০০ টাকা। তবে এলসি ও দেশি বিক্রি হচ্ছে ৭০ হতে ৮০ টাকা দরে। ছিঁটা পেঁয়াজ অনেকটা চাহিদা পূরণ করছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, চরাঞ্চলে বর্তমানে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ হচ্ছে। এরমধ্যে ছিঁটা বা পাতা পেঁয়াজ রয়েছে। চরের মাটি ছিঁটা পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য অনেক উপযোগী
সান নিউজ/আরআই/এনকে