মোঃ এনামুল হক, মোংলা থেকে : সুন্দরবনের দুবলার চরে রোববার রাস পূর্ণিমার পূজা ও সোমবার পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। পূণ্যস্নানকে সামনে রেখে বন বিভাগের পারমিট নিয়ে শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দুবলার চরের উদ্দেশে ছুটছেন সনাতন ধমার্বলম্বীরা।
পূর্ব সুন্দরবনের বগি-বলেশ্বর হয়ে দুবলা ও পশুর নদী হয়ে সরাসরি দুবলা, এই দুই পথ দিয়ে বনবিভাগের বেধে দেয়া করোনা বিধি মেনে আলোরকোলে যেতে হবে পূর্ণ্যার্থীদের। এছাড়া পশ্চিম সুন্দরবন দিয়েও যাওয়ার জন্য রয়েছে আরও তিনটি পথ। এই পাঁচটি পথের বাঁকে বাঁকে থাকবে বনবিভাগের তল্লাশি ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই পথ ব্যতিরেখে চোরাইভাবে পথে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বন বিভাগ।
ঐতিহ্যবাহী রাস মেলা, পূর্ণিমার তিথিতেই হয়ে থাকে। প্রতি বছর বাংলা কার্তিক মাসের শেষে বা অগ্রহায়ণের প্রথম দিকের ভরা পূর্ণিমা তিথিতে এ রাস পূজা ও স্নান উদযাপিত হয়ে আসছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ সময় পূর্ণিমার জোয়ারের লোনা পানিতে স্নান করে তাদের পাপ মোচন হবে এমন বিশ্বাস নিয়ে রাস পূজায় যোগ দিয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব বা মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এবার শুধু রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে বনবিভাগ। এই সময়ে দুবলার চরে যেতে পারবে না কোন পর্যটক ও সনাতন ধর্মের লোকজনও ছাড়া অন্য কেউ। এর আগে ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে রাস পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে কোন মেলা বা উৎসব হয়নি।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস পূজা ও ৩০ নভেম্বর সকালে চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পুণ্যস্নানের মধ্যদিয়ে রাস পূজা শেষ হবে। ২৮ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে পূজারীরা সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলের উদ্দেশ্যে ট্রলার ও নৌকা নিয়ে রওনা দিবেন।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে কারণে সেবারও রাস পূজা ও পুণ্যস্নান ছাড়া রাস উৎসব কিংবা কোন মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।
সান নিউজ/এএইচ/এনকে