নিজস্ব প্রতিনিধি, বাগেরহাট : বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত মা-বাবার কোলের মধ্য থেকে ১৭দিন বয়সী শিশু চুরি ও তিনদিন পরে পুকুরে মরদেহ পাওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন শিশুটির মা শান্তা আক্তার (২২)। মরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন পরে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মণ্ডল বলেন, ‘শুক্রবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শান্তা আক্তার তার মেয়েকে নিজেই বিছনা থেকে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেন বলে স্বীকার করেন। ‘জিনের আছড়’ ভর করার কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটান বলে পুলিশকে জানান শান্তা।
থানা পুলিশ পরে (শুক্রবার রাতে) শান্তাকে বাগেরহাট কোর্টে পাঠান। কোর্টেও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে একই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শান্তা। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বলে থানার ওসি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে গাবতলা গ্রামের সুজন খানের শিশুকন্যা সানজিদাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ধারণা করা হয়েছিল, শিশুটিকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাতে থাকে। সোমবার রাতে শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন দিন পর তাদের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে সোহানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সুজন খানও জেলহাজতে আছেন।
সান নিউজ/এসএম