মাজহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা : আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন দুবলার চরের আলোরকোলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমার পূণ্যস্নান উৎসব। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় রাস-পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে শুধুমাত্র পূণ্যার্থী, তীর্থযাত্রীদের অংশগ্রহণে ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৩০ নভেম্বর সকালে পূণ্যস্নানের মাধ্যমে রাস পূজা ও পূণ্যস্নান উৎসবের সমাপ্তি হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও হাজার হাজার হিন্দু তীর্থযাত্রীদের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ উপলক্ষ্যে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ পূণ্যস্নানে আগত পুণ্যার্থী, তীর্থযাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বদা নজরদারি রাখছে। এ প্রেক্ষিতে উৎসবের পূর্ব হতেই দুবলার চরে যাতায়াতের জন্য বন বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত ০৫ টি রুটের সকল নৌযানে কোস্ট গার্ড ও বনবিভাগ যৌথভাবে তল্লাশীর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ সকল নৌযান যেন সুন্দরবনে বন্য প্রাণী শিকার এবং অবৈধ ভাবে গাছ কাটতে না পারে সে জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোস্ট গার্ডের বিশেষ টহল অব্যাহত থাকছে।
দুবলার চরে আলোরকোল এলাকার প্রবেশ মুখে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বিতভাবে তল্লাশী পূর্বক সকল পুণ্যার্থীদের প্রবেশের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সাথে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলা এর তত্ত্বাবধানে উক্ত এলাকায় একটি ডুবুরি ও একটি মেডিকেল দল সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত থাকবে।
যে কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবেলার জন্য দুবলার চরে কোস্ট গার্ড স্টেশনের নীচতলায় কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-০১৫৩৫৮৮৯২০৪ এবং অতিরিক্ত-০১৭৬৯৪৪৪৩৩৩) স্থাপন করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম হাবিব উল আলম জানান, রাস পূর্ণিমা উৎসব উদযাপনে কোস্ট গার্ডের নিজস্ব প্রস্তুতির পাশাপাশি র্যাব, বনবিভাগ, নৌ পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এমআই/এস