নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় এবার মাহিন্দ্র থেকে যাত্রী নামিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। তবে ভুক্তভোগী নারীর সাহসিকতায় ধর্ষণ চেষ্টাকারী একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আরও একজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
থানার ওসি (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ওই নারী সাহসী না হলে ধর্ষণের পর হয়তো তাকে মেরেও ফেলতে পাড়তো।
জানা গেছে, বুধবার (২৫ নভেম্বর) স্বামীর বাড়ি খুলনা থেকে নিজের পিতার বাড়ি উজিরপুরের ইচলাদিতে ফিরছিলেন। খুলনা থেকে বরিশালে বাসযোগে নেমে নথুল্লাবাদ মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড থেকে একটি মাহিন্দ্রায় ওঠেন। সেই মাহিন্দ্রায় আরও দুইজন নারী যাত্রী ছিল।
ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই নারীর বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) পুলিশ জানিয়েছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসার পর মাঝপথে নারী যাত্রী দুজন তাদের গন্তব্যে নেমে যান। এরপর মাহিন্দ্রা মালিক ও চালক অন্য কোন যাত্রী না নিয়ে ওই গৃহবধূকে নিয়ে গাড়ি চালাতে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে উজিরপুর উপজেলার উপকণ্ঠে জিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সড়কে গাড়িটি নিয়ে ঢুকে পড়েন গাড়ির মালিক সবুজ ও চালক ইব্রাহিম। ওই সড়কের ফরিদ খানের বাড়ির সামনে নির্জনে গাড়ি থামিয়ে গাড়ির যাত্রী সেই গৃহবধূকে টেনেহিচড়ে নামিয়ে ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
এসময়ে গৃহবধূ চিৎকার দিলে পাশেই পান বরজে কাজ করা রুস্তুম হাওলাদার এগিয়ে আসেন। তিনি ধর্ষণ চেষ্টাকারীদের ধরার চেষ্টা করলে মাহিন্দ্র নিয়ে মালিক সবুজ ও চালক ইব্রাহিম পালিয়ে যায়। শেষে স্থানীয়দের সহায়তায় মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া দিয়ে মাহিন্দ্রা চালক ইব্রাহিমকে আটক করে জনতা। তবে পালিয়ে যায় মাহিন্দ্রা মালিক সুবজ। স্থানীয়রা অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইব্রাহিমকে ‘গণধোলাই’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল হক জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মাহিন্দ্রা মালিক সবুজ ও চালক ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম উপজেলার মাদার্শী গ্রামের তফাজ্জেল ব্যাপারীর পুত্র। তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ/এস