সান নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ারে আগে থেকে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাওয়ার পর মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে। অথচ কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব পণ্যের সংকট নেই দেশে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।
এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মাস্ক ও জীবানুনাশক বিক্রির দায়ে জরিমানা ও আটক করা হয়েছে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে।
দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে সাভার থানা রোড এলাকার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। ৫ টাকার মাস্ক ৪০ টাকায় বিক্রির দায়ে সাভার লাজ ফার্মাকে এক লাখ টাকা জরিমানা কারা হয়েছে। এসময় হাতেনাতে আটক করা হয় সাভার লাজ ফার্মার ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান ও বিক্রয়কর্মী পাপন দেবনাথকে। পরে জরিমানার এক লাখ টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
নারায়নগেঞ্জে বাড়তি মূল্যে মাস্ক বিক্রি ও অবৈধ ওষুধ মজুদের দায়ে একজনকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আটটি ফার্মেসিকে এক লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এর ফলে জনগণের মধ্যে আতংক তৈরি হয়েছে। সেই প্যানিক দূর করতেই অভিযানে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজশাহীতে ১৫ টাকার মাস্ক ৭০ টাকা বিক্রির দায়ে দুইজনকে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এছাড়া, লক্ষ্মীপুর, রংপুর ও টাঙ্গাইল অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাড়তি দামে মাস্ক বিক্রির দায়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।