রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
সারাদেশ প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০২০ ০৪:১১
সর্বশেষ আপডেট ৩০ জুন ২০২১ ১৬:৩৪

নদীতে মিলছে প্রচুর দেশি মাছ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : নদী ও সাগরে মিলছে প্রচুর দেশি মাছ তাই অন্যান্য মাছের সথে দেশি মাছে ভরপুর বরিশালের মাছের আড়তগুলো। নদ-নদী, খাল-বিলের দেশি জাতের এবং সাগরের অন্যান্য মাছ প্রকারভেদে পাইকারি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে দেড়শ থেকে ৫০০ টাকা দরে। এর মধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন নদী থেকে আহরিত পাঙ্গাস মাছ এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। পাঙ্গাসগুলোর সাইজও বেশ বড়।

বরিশাল মোকামে রফতানিযোগ্য এলসি সাইজ (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬২৫ টাকা এবং কেজি সাইজের প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৭০ টাকা কেজি দরে। এক কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। ভরা মৌসুমে এসব মোকামে প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ৫ হাজার মন ইলিশ আসে। অথচ গত দু’দিনে এসেছে মাত্র ২০০ মন ইলিশ।

তবে মোকামে তেমন ইলিশ না থাকলেও নদ-নদী খাল-বিল-ঘের থেকে আহরিত দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছে ভরপুর পোর্ট রোডের মোকাম। সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছও রয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে তেঁতুলিয়া ও চন্দ্রমোহন নদী থেকে আহরিত বড় বড় পাঙ্গাস দৃষ্টি কাড়ছে ক্রেতাদের।

একেকটি পাঙ্গাসের ওজন ৩ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত। বড় সাইজের একটি পাঙ্গাস প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। নদ-নদীর দেশীয় পোয়া মাছ সাইজ ভেদে বিক্রি হয়েছে দেড়শ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। আগের চেয়ে চিংড়ি মাছও সস্তা। বর্তমানে মাঝারি সাইজের চিংড়ি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে।

মাছ ব্যবসায়ী মো. আরিফুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার মোকামে সামুদ্রিক জাভা কই ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, মোচন মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, ম্যাদ মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, চিতল ১১০ থেকে ১২০ টাকা, কালো রঙের রূপচাঁদা ৩০০ থেকে ৪০০ এবং সাদা রঙের রূপচাঁদা ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রিপন জানান, শীতের শুরুতে গ্রামগঞ্জে ঘের, পুকুর, ডোবা, খাল-বিল সেচ করে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে। নদীতে ইলিশ না পাওয়া গেলেও জেলেদের জালে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর। এ কারণে দেশি মাছে মোকাম ভরপুর। এর মধ্যে চন্দমোহন নদী ও তেঁতুলিয়া নদীতে পাওয়া যাচ্ছে বড় বড় সাইজের পাঙ্গাস। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে যাওয়া ট্রলারগুলো ফিরে এলে মোকামে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে বলেও জানান তিনি।

বরিশাল জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, নদীতে ডিম ছেড়ে ইলিশ সমুদ্রে চলে যায়। এই সময়ে নদ-নদীতে তেমন ইলিশ পাওয়া যায় না। তবে বাজারে অন্যান্য মাছের প্রচুর সরবরাহ আছে।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ঈদের পরে পর্যটন কেন্দ্রের হালহাকিকাত

বিনোদন প্রতিবেদক: রমজান মাসে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল প্রায় সুনসান নীরব...

বিমসটেক সম্মেলনের পথে প্রধান উপদেষ্টা

সান ডেস্ক: এশিয়ার শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা