প্রীতিলতা স্বদেশ:
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা শরীয়তপুর। এই জেলারই একটি উপজেলা নড়িয়া। সবকিছুই এতদিন ভালোই চলছিলো সেখানে। কিন্ত হঠাৎ করেই গেল কিছুদিন ধরে সেখানে করোনা আতঙ্ক ভর করেছে সবার মাঝে।
এর বড় কারণ জেলার ইতালি প্রবাসীরা। গেল দুই সপ্তাহে দেড় শতাধিক ইতালি প্রবাসী ফিরেছেন নিজ গ্রামে। আতঙ্কটা হয়তো বেশি হতো না যদি না দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুইজনই ইতালি প্রবাসী না হতেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে এই মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে সংকটাপন্ন ইতালি।
এরই মধ্যে গোটা ইতালিকেই কোয়ারেন্টিনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সোমবার রাতে দেশটির প্রায় সব নাগরিককে বাড়িতে অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে সেই দেশ থেকে ফিরে আসা প্রতিবেশিকে নিয়ে রীতিমতো উৎকণ্ঠা নড়িয়ার মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে ইতালিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পর এই প্রবাসীরা দেশে আশায় আতঙ্কটা একটু বেশিই। ইতালিতে বসবাস করে শরীয়তপুর জেলার অন্তত ৭৫ হাজার মানুষ। যার ৮০ শতাংশের বাড়িই নড়িয়ায়। এমনকি এই উপজেলার একটি এলাকার নামও ইতালিপাড়া।
ইতালি ফেরতদের অধিকাংশই বলছেন, বিমানবন্দরে তাদের তেমন কোন পরীক্ষাই নাকি করা হয়নি। এতে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। তারা অবশ্য নিজেরাই স্ব-উদ্যোগেই স্বজনদের কাছ থেকে দূরে থাকছেন। সেল্ফ কোয়ারেন্টিন করেছেন তারাই।
ইতালিতে করোনা আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির পর দেশটি থেকে নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করে নড়িয়ার প্রবাসীরা। গ্রামের বাড়িতে আসার পর থেকেই সবার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছেন তারা। আর শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়েছে নড়িয়ায় ফেরা এসব প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে পাঁচ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে একশ শয্যা ।