নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনা মহানগরীর অধিকাংশ সড়ক ও ফুটপাত গুলো রয়েছে ইট-বালু ব্যবসায়ীদের দখলে। সড়কে ইট-বালুর অবাধে ব্যবসা চলছে। দেখলে মনে হবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে এরা সড়ক লীজ নিয়েছে । নগরীর গুরুত্ত্বপূর্ণ সড়কের তিনভাগের দুই ভাগ দখল করে দিন-রাত ইট-বালুর ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই।
অবিলম্বে নগরী থেকে সিমেন্ট কারখানা, ইট-বালু ব্যবসা বন্ধ করে নগরীর বাইরে নিদিষ্ট কিছু স্থান নির্ধারণ করে দেওয়ার জোর দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিসচা’র পক্ষ থেকে এ বিষয়ে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক-এর নিকট লিখিত আকারে স্মারকলিপি দিলে তিনি ২-৩ দিন এসব অবৈধ সড়ক দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও তা পরবর্তীতে আবার পূর্বের অবস্থা থেকে যায়। পৃথিবীর কোন সভ্য দেশের একটি গুরুত্তপূর্ণ নগরীতে এমনভাবে সড়কে ইট-বালুর ব্যবসা আছে কি-না তা আমাদের জানা নেই।
এক সময়ের পরিবেশ বান্ধব খুলনা নগরী আজ বড়ই অসহায়। এক দিকে সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে করুন দশা অন্যদিকে সড়কে ইট-বালুর ব্যবসা, ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে। দেখলে মনে হয় ভোটের আগে জনগণ-ভোটের পরে দখলদারের স্বার্থরক্ষা। খুলনা মহানগীর পরিবেশ আজ ভয়াবহ দূষণের কবলে। সড়ক দখলদার ইট-বালু ব্যবসায়ীদের কারণে পথচারীরা পথ চলতে পারছে না ঠিকমত। ঘটছে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা। দিনের বেলা নগরীতে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকার নিয়ম থাকলেও ইট-বালু ব্যবসাীদের ড্রাম ট্রাক বিভিন্ন সড়কে নিয়মিত চলছে। চলছে লবনচরায় অবস্থিত একটি সিমেন্ট কারখানার ট্রাক।
এসব দখলদার ধূলা-বালু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে খুলনা নগরবাসী মুক্তি চায়। নগরীর মতিয়াখালী-ক্ষেত্রখালী খালসহ বিভিন্ন খাল ভরাট করে রাস্তা ও ড্রেন করা হয়েছে। সেই রাস্তায় মানুষের যাতায়াত বিঘ্ন করে ইট-বালুর ব্যবসা শুরু করেছে। এসব বাড়ী-ঘর নির্মাণ সামগ্রী রাত ১২টার পরে নগরীর সংশ্লিষ্ট স্থানে পরিবহন করা বাধ্যতামূলক করা হোক।
দিনের বেলা সড়ক দখল করে এবং উন্মুক্তভাবে ড্রাম ট্রাক, ইট-বালুর ট্রাক যেন কোন ভাবেই চলাচল করতে না পারে সেদিকে কেসিসি-পুলিশ প্রসাশনকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সান নিউজ/কেএ/এনকে