নিজস্ব প্রতিনিধি, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কেরশাইল গ্রামে খাসজমি বন্দোবস্ত দেয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ-অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। খাস জমি ছাড়াও ব্যক্তিগত জমিতে লাগানো লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন ধরনের ফলদ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঘটনাস্থলে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগে জানা যায়, ১৩১ নং কেরশাইল মৌজার ১২৮ নং খতিয়ানের ১৩২ নং দাগের ২৫২ শতক জমিতে বসত করেন ২৫/৩০ টি হতদরিদ্র পরিবার। তাদের কেউ দিন মজুর, কেউ ভ্যানচালক, কেউ রাজমিস্ত্রি কেউ আবার অন্যান্য পেশায় শ্রমিকের কাজ করেন। এসএ রেকর্ড জরিপের সময় ঐ জমি থেকে ২৮ শতক জমি সরকারি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। পরে বরাদ্দ নিয়ে জমি ফিরে পান তারা। কিন্তু অসচেতনতার কারনে দীর্ঘদিনের খাজনা অনাদায়ে গত বিএস রেকর্ডের সময়ও ঐ জমি থেকে আবারো ৫১ শতক জমি খাস হয়ে যায়।
সম্প্রতি ভূমিহীন পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ঐ খাস জমি ভূমিহীনদের বরাদ্দ দিলে টনক নড়ে জমি মালিকদের। তারা ওই বরাদ্দ ঠেকাতে আদালতে রেকর্ড সংশোধনীর আবেদন করেছেন। জমি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক টাকার অনেক গুলো ফলদ গাছ কেটে ফেলেন সংশ্লিষ্টরা।
জমির মালিক সাহেদ আলী বলেন, এই বসত বাড়ি ছাড়া আমাদের আর কোন জমি নাই। এ থেকে আমাদের উচ্ছেদ করলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?
অপর ক্ষতিগ্রস্ত আসমা খাতুন বলেন, আমরাওতো ভূমিহীন। এক ভূমিহীনের জমি কেড়ে নিয়ে আরেক ভূমিহীনকে দেওয়ার মধ্যে কার লাভ বুঝতে পারছি না। নিজের পৈতৃক জমি খাস হলে আমরাই এর হক দাবীদার। এখানে অন্য কাউকে বসানো উচিৎ হবে না।
সান নিউজ/কেএস/এনকে/এস