নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল: দুর্গাসাগর দীঘিতে অতিথি পাখিদের খাবার সরবরাহে শামুক ও ঝিঁনুক ছেড়েছে জেলা প্রশাসন। সংখ্যার হিসেবে তা অর্ধলক্ষাধিক। জেলা প্রশাসন মনে করে, শামুক-ঝিঁনুক ছাড়ায় দিঘীটির ইকো সিস্টেম যেমন ভালো থাকবে তেমনি শীত মৌসুমে পরিযায়ীদের খাদ্য সংকট ঘুচবে। পাশাপাশি যথার্থ খাবার পেয়ে দুর্গাসাগরে বেশিদিন অবস্থান করবে পাখিগুলো।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, ওই অর্ধলাখ শামুক-ঝিঁনুক উজিরপুর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সংগ্রহ করেছে। আর কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে ইকো সিস্টেম ভালো রাখতে এই খাদ্য দিঘীতে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, দুর্গাসাগরের মধ্যবর্তী দ্বীপকে আরো বেশি দৃষ্টিনন্দন ও আকষর্ণীয় করে সাজাতে ইতিমধ্যে দেশীয় নানা প্রজাতির বাঁশ এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে।দ্বীপের চারপাশের জলরাশিতে শাপলা এবং দ্বীপের মাঝে স্থল পদ্ম, গাঁদা, কলাবতী, হাসনা-হেনা উল্লেখযোগ্য।
বরিশালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পট ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর দীঘিকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে দেশি প্রজাতির হাঁস, রাজা হাঁস, দেশি-বিদেশি প্রজাতির পাখি, বানর, শতাধিক কবুতর, হরিণ ছাড়া হয়েছে। জলাধারে অবমুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
ইতোমধ্যে জলাধারে নৌকা, প্যাডেল নৌকায় ভেসে বেড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে ডিসি মঞ্চ, পিকনিক শেড। নির্মাণাধীন রয়েছে শিশু পার্ক, রেস্টহাউজ। যদিও দিঘীর মাঝখানের দ্বীপের সঙ্গে কাঠের ব্রীজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে পরিবেশবাদীরা তাতে আপত্তি জানান। শেষে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে জেলা প্রশাসন।
সান নিউজ/এমএইচ/এনকে