নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ শেখ সাজ্জাদ হোসেনকে মারপিটের ঘটনায় ওই কেন্দ্রে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত চিকিৎসক ডা. শেখ সাজ্জাদ হোসেন সন্ত্রাসী নাজিম খন্দকারকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা চালু করবেন না বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহম্মদ।
সিভিল সার্জনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, গোপীনাথপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট পল্লীচিকিৎসা কেন্দ্রে দুইজন ডাক্তার রয়েছেন। মঙ্গলবার দায়িত্বরত অবস্থায় ডাঃ সাজ্জাদ হোসেনকে স্থানীয় এক সন্ত্রাসী মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় হামলা হতে পারে এই আশংকায় আমরা গোপীনাথপুর পল্লী কেন্দ্রের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছি। আসামী গ্রেফতার হলেই পুনরায় রোগী দেখা শুরু করা হবে। তবে ওই কেন্দ্রে যেসব রোগী সেবা নিতে আসছেন তাদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অফিসের অন্য সহায়কদের বলা হয়েছে।
আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) হযরত আলী বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে তার বড় ভাই মোঃ ইমরুল হাসান খন্দকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। তার ভাই নাজিমকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তা করবে এমন মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার গোপীনাথপুর গ্রামের ফটিক খন্দকারের ছেলে নাজিম খন্দকার রোগীদের ঠেলে ভিতরে এসে তাকে আগে দেখে দেয়ার কথা বলেন। তাতে ডাক্তার রাজি না হওয়ায় প্রথমে গালমন্দ ও পরে মারপিট করে। এসময় হাসপাতালের অফিস সহকারী ওবায়দুর রহমান বাধা দিতে গেলে তাকেও মারপিট করে আহত করে। এতে ডাক্তারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং অফিস সহকারীর বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয় । আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সান নিউজ/বিকে/এনকে