নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরিদপুর: নির্ভিক সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যাকান্ডের ১৫তম দিবসে মঙ্গলবার ফরিদপুরে ও ভাঙ্গায় চন্ডিদাসদী গ্রামে প্রয়াতের বাড়ীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলা ১১ টার দিকে গৌতম দাসের সমাধিতে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌতমের বাড়ির চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে গৌতম দাসের বাড়ির আঙিনায় তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্মরণ সভায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোসায়েদ হোসেন ঢালীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাসুদ। বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এমএ ওয়াদুদ, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুধিন সরকার মঙ্গল, ভাঙ্গা সরকারী কেএম কলেজের সাবেক ভিপি মোঃ শওকত প্রমুখ।
বক্তারা সাংবাদিকতায় গৌতম দাসের অবদানের কথা স্মরণ করেন। গৌতম দাসকে সাহসী সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, গৌতম দাস অপশক্তির সঙ্গে আপোস করেননি। তার কলমে এ অঞ্চলের বঞ্চিত উপেক্ষিত মানুষের কথা ফুটে উঠেছে। তিনি শাসক শক্তির অপতৎপরতার চিত্র তুলে ধরার কারণেই খুন হন।
এছাড়া এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দ ও গৌতম দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে গৌতম দাসের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করা হয়। ফরিদপুর শহরে বান্ধব পল্লীতে প্রয়াত গৌতম দাসের স্ত্রী দীপালি দাস এবং ভাঙ্গায় গৌতম দাসের ভাই বোনদের উদ্যোগে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদী ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়।
২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরের নিলটুলী মুজিব সড়কে স্মরণী মার্কেটে অবস্থিত দৈনিক সমকাল ব্যুরো অফিসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় গৌতম দাসকে। ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন গৌতম দাস হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নয়জন আসামির সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
সান নিউজ/বিডি/এনকে