নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের এলাকার বৃহত্তর আখালিয়া সংগ্রাম পরিষদ ও রায়হানের পরিবারের সদস্যবৃন্দ মামলার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
হত্যাকান্ডের পর তাদের যারা সমবেদনা জানিয়েছেন, আন্দোলন সংগ্রামসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার প্রতি তারা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
শনিবার রায়হানের আখালিয়া-নেহারীপাড়ার বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা তাদের দাবি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মখলিসুর রহমান কামরান।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, রায়হান হত্যাকান্ডের পর আকবরসহ ইতিমধ্যে পুলিশের ৪ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া সাক্ষী হিসাবে ৩ পুলিশ সদস্য আদালতে প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি দিয়েছে। এদের বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে, নির্দোষ রায়হানের মৃত্যু হয়েছে পুলিশী নির্যাতনে। গ্রেফতার হওয়া আকবর ভুঁইয়াকে সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার সার্বিক চিত্র বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, আমরা মনেকরি তদন্তকারী সংস্থা আন্তরিক হলে শীঘ্রই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব হবে।
কামরান সংবাদ সম্মেলন থেকে রায়হানের পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষে রায়হান হত্যা মামলার সব আসামীকে গ্রেফতার, আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল ও দ্রুততম সময়ে আকবরসহ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার শুরুর দাবি জানান।
এছাড়া হত্যাকান্ডে তাদের যারা সমবেদনা জানিয়েছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যারা সহযোগিতা করেছেন, আকবরকে গ্রেফতারে সহযোগিতা করা কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তবাসী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেটের পুলিশ সুপার, গণমাধ্যম কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইক আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রায়হানের মা সালমা বেগম, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ রায়হানের পরিবারের সদস্য ও সংগ্রাম পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সচেতন আখালিয়া এলাকাবাসী।
সান নিউজ/এক/এনকে