কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন এবং অন্য কোন ফি আদায় করা যাবে কি যাবে না-এ বিষয়ে নির্দেশনা আসার আগেই ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি বেসরকারি কলেজের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সারা বছরের টিউশন ফি (মাসিক বেতন) ও সেশন চার্জ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাউশি কর্তৃক নির্দেশনা প্রদানের আগেই যাবতীয় পাওনা আদায় করছে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নে অবস্থিত 'কাদিরদী কলেজ' ও চতুল ইউনিয়নে অবস্থিত 'চতুল উচ্চ বিদ্যালয়'। সরকারি নির্দেশনা জারির আগেই তড়িঘড়ি করে বেতন ও পাওনাদি পরিশোধের নির্দেশ দেওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২শ টাকা এবং নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১৩শ টাকা আদায় করা হয়েছে। চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ১২ মাসের টিউশন ফি না দিলে এসাইনমেন্ট জমা নিচ্ছে না শিক্ষকগণ।
কাদিরদী কলেজের একাদশ শ্রেণির জনৈক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন হাজার দুইশ ষাট টাকা আদায় করলেও রসিদে খাতওয়ারি কত টাকা নিয়েছে তার উল্লেখ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাদিরদী কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, টিউশন ফি না দিলে এসাইনমেন্টের কাজ দিচ্ছে না।
নির্দেশনা ব্যতীত টাকা আদায়ের ব্যাপারে কাদিরদী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান বলেন, “জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টিউশন ফি, এসাইনমেন্টের ফি বাবদ ৩২০ টাকা এবং অন্যান্য খাতসহ তিন হাজার ১৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।”
চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুনীর হোসেন বলেন, “শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়েই টিউশন ফি ও সেশন চার্জ আদায় করা হচ্ছে।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, আমার এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষ্ণু পদ ঘোষাল বলেন, আমি একটা জরুরী সভায় আছি। রাতে কথা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, “উপজেলা পরিষদের আজকের মিটিংএ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে কোন অভিযোগ না আসে। বেতন আদায় সংক্রান্ত নির্দেশনা আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
সান নিউজ/কেএস/এস