নিজস্ব প্রতিনিধি, পবনা (ঈশ্বরদী): ঈশ্বরদীর মাঝগ্রামে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ফাইভ আপ মেইল ট্রেন ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার সাত ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৬৪ নম্বর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদীর মুলাডুলি থেকে খুলনার দিকে ছেড়ে যায়।
এর আগে বুধবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হলে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বুধবার ভোর ৫টায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ শাহীদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ট্রেন কন্ট্রোলার মো. শফিকুর রহমান জানান, রেললাইন সচল হয়ার পর খুলনাগামী ৭৬৪ নম্বর চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা দিনাজপুরগামী ৭৫৭ নম্বর দ্রুতযান এক্সপ্রেস চিলাহাটি-ঢাকাগামী ৭৬৬ নম্বর নীলসাগর এক্সপ্রেস, দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী ৯৮২ নম্বর তেলবাহী ট্রেন, খুলনা- ঢাকাগামী ৭২৫ নম্বর সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ঢাকা লালমনিরহাটগামী ৭৫১ নম্বর লালমনি এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহীগামী ৭৫৯ নম্বর পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো পর্যায়ক্রমে স্টপেজ থেকে নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
পাকশী বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (ডিএসটি) রুবাইয়াৎ শরীফ প্রান্ত জানান, বুধবার (১১ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ফাইভ আপ মেইল ট্রেনের ইঞ্জিনের চারটি চাকাসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রিলিফ ট্রেন ঈশ্বরদী থেকে আসার পর রাত ১১টা থেকে রেলওয়ের উদ্ধারকর্মীরা কাজ শুরু করে। রাত ৩টার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর ওই ট্রেনের যাত্রীরা বিকল্প পথে তাদের যাত্রা শুরু করেন। অতঃপর রেললাইন সচল করে ভোর পৌনে ৪টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ শাহীদুল ইসলাম জানান, স্টপেজে (দাঁড়) করিয়ে রাখা বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো কয়েক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। আটকে থাকা ছয়টি যাত্রীবাহী ট্রেন নির্ধারিত সময় থেকে ৩/৪ ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) হাতে পাওয়ার পর যদি রেলওয়ে কর্মচারীদের কোনো গাফিলতির প্রমাণ মেলে তো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
সান নিউজ/এসএম