নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিশ্রুতিতে আত্মসমর্পন করেছিলেন সুন্দরবনের জলদস্যুরা। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এবার আত্মসমপর্ণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের জলদস্যুরাও। এদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যুও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসম্পর্ণ করবেন তারা।
জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার তারই ধারাবাহিকতায় নগরীর বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া এলাকার ৪০ জনের মতো জলদস্যু অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করবেন।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর অতিরিক্ত এসপি সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া এই সদস্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ছয় থেকে সাত জন সদস্য আছেন। যারা বিভিন্ন সময়ে ডাকাতি, অস্ত্র কারবারি, ছিনতাই ও জলদস্যুতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
র্যাব সূত্র বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এবং র্যাব-পুলিশের ঊর্ধ্ববতন কর্মকর্তার কাছে অস্ত্র বুঝিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করবে এই ডাকাত ও জলদস্যুরা। এর আগে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছুদিন ধরেই মাঠপর্যায়ে কাজ করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ৩১ শে মে থেকে ১ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য ৪৬২টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছিল। বর্তমানে তারা মাছের ঘের, কাঁকড়া চাষসহ নানা পেশায় নিয়োজিত আছেন। আবার কেউ অন্য কাজ করছেন। আত্মসমর্পণ পরবর্তীতে পুনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে নগদ ১ লাখ টাকা ও আইনি সহায়তা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর র্যাবের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। সেই সময় অনেকেই নাগালের বাইরে ছিল। তাই সম্প্রতি বিভিন্ন পাহাড় ও সাগর উপকূলে অভিযান বৃদ্ধি করে র্যাব। অভিযানের মুখে আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এই জলদস্যুরা।
সান নিউজ/এসএম