নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা : ভোলায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অর্ধকোটি টাকার টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা পছন্দের ঠিকাকাদারকে টেন্ডারের গোপন রেট কোড দিয়ে কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ঠিকাদারগণ।
ভুক্তভোগী ঠিকাদার হোসাইন সাদীসহ একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, গত ২২ অক্টোবর ভোলা বন বিভাগের দুইটি কাজের টেন্ডার আহবান করা হয়। একটি হলো ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৫ টাকা.০৯০ পয়সা ও অপরটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬২ টাকা.০৮০ পয়সা । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি কাজে ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও অপর একটি কাজে ১৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার সাবমিট করে। কিন্তু টেন্ডার সাবমিট করার সময় কয়েকজন ঠিকাদার জেলা বন কর্মকর্তাকে কাজের রেট জিজ্ঞেস করলে তিনি কাজের রেট গোপন রাখা হবে বলে জানান।
সকল ঠিকাদার সে অনুযায়ী যে যার মত করে রেট সাবমিট করে। কিন্তু টেন্ডার খোলার তারিখ ১০ নভেম্বর দেখা গেলো দুইটি কাজের একটিতে এইচ এল কর্পোরেশন ও অপরটিতে মেসার্স রহমান এন্ড সন্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বন বিভাগের গোপন রেট অনুযায়ী ১০% নিন্ম দরে হুবহু রেট সাবমিট করেছেন। যা দশ পয়সাও গরমিল হয়নি। এতে প্রতিয়মান হয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের গোপন রেট বলে দেয়া হয়েছে আগেই । যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
তারা আরো জনান, পৃথিবীর কোনো ঠিকাদার তো দূরে থাক কোনো কম্পিউটারও গোপন রেট না পেলে ১০% মিলিয়ে হুবহু রেট দিতে পারবে না। আমরা মনে করি বন বিভাগের আসাদু কিছু কর্মকর্তা বিভিন্ন সুবিদা নিয়ে এ গোপন রেট ফাঁস করে দিয়েছে। তাই আমার এ টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডারের আহবান ও এর সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি করছি। অন্যথায় আমরা এ টেন্ডারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিবো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোলার অন্য দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গোপন রেট কোড না পেলে কোন ঠিকাদারের পক্ষে ১০% মিলিয়ে দরপত্র দাখিল করা সম্ভব না।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, আমি কোনো ঠিকাদারকে গোপন রেট বলিনি। তবে অফিসের সকল কাজতো আমি একা করতে পারিনা তাই অন্যদের সহযোগিতা নিতে হয়। যদি তাদের থেকে এ গোপন রেট ফাঁস হয়ে থাকে তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/ইআর/এস