নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেট জেলা পুলিশ কারও কৃতিত্ব ছিনতাই করেনি বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। নিজের ফেসবুক আইডির একটি পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আগের মতোই তিনি দাবি করেছেন, আসামী ধরতে তারা যেমন একাধিক সোর্সের সাহায্য নেন, তেমনি রায়হান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিস্কৃত এসআই আকবর হোসেনকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও তারা একই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে এবং সফল হয়েছে।
সোমবার সকালে কানাইঘাটের ডনা সীমান্তে গ্রেফতার হওয়া আকবর বিষয়ে নানাজনের নানা মন্তব্যের জবাবে ফরিদের এমন বক্তব্য।
আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে তারাই গ্রেফতার করেছেন এমন দাবির প্রেক্ষিতে চরম সমালোচনা শুরু হয় সিলেটসহ সারাদেশে। এর কারণ, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটা ভিডিও। সেটিতে খাসিয়া যুবকদের আকবরকে ধরাবাঁধা করতে দেখা গেছে। তাই সবার মধ্যে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে, জেলা পুলিশ ওদের কৃতিত্ব কেড়ে নিচ্ছে।
তবে রায়হানের ঘাতক আকবরকে যে ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে আনা হচ্ছে এবং সে যে অনেক আগেই দেশের বাইরে চলে গিয়েছিলো ঐ ভিডিও এবং খাসিয়া ও রহিমদের সুবাদে এতদিনে তা দিনের আলোর মতো পরিস্কার।
পুলিশ সেটি জানলেও সেদিন সংবাদ সম্মেলনে ফরিদ কেন দাবি করেছিলেন ভারতে পালানোর সংবাদ পেয়ে সেখানে তাদের লোকজন রেখেছিলেন এবং তাকে ধরেছিলেন, তার কোন ব্যাখ্যা দেননি। আর তাই জনগণের সমালোচনার সুযোগটা যে তিনিই সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন এটাও বলতে শুরু করেছেন সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
তবে খাসিয়ারা আকবরকে বেঁধে ডনা সীমান্তে যার হাতে তুলে দিয়েছিল সেই রহিম উদ্দিনও স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি ২ দিন ২ রাত ঘুুমাননি। কারণ এ দায়িত্বটাকে দিয়েছিলেন তার কয়েকজন 'স্যার'। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদও 'আকবরকে আটকের নেপথ্যে যা বললেন রহিম' নাম সংবাদে প্রকাশ হয়েছে সান নিউজ২৪-এ।
এ প্রসঙ্গে ফরিদ আরও বলেন, জেলা পুলিশ কারো ক্রেডিট ছিনতাই করেনি। বরং যারা এমন সমালোচনা করছেন তারা পুলিশের অর্জন ও পরিশ্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া একটি পোস্টে তিনি এমন তন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, সত্য না জেনে অনেকে বাজে মন্তব্য করেছেন। সিলেট জেলা পুলিশ কারো ক্রেডিট ছিনতাই করে নাই বরং কিছু লোক আংশিক তথ্য জেনে আমাদের পরিশ্রম এবং অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন।
সান নিউজ/এক/এস