নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি পুরাতন পল্লী বিদ্যুতের ভবনে এবং ব্র্যাক সংলগ্ন একটি মটোর গ্যারেজের সামনে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক এবং ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
সোমবার (৯ নভেম্বর) রাতের পৃথক অভিযানে পরিচালনা করেন পরিদর্শক ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল। অভিযানে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় আ’লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক এম মনিরুজ্জামান মনিরের ভাই আটককৃত ইকবাল হোসেন কামরুল ও প্রিন্স তালুকদারকে রাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জন ও ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযানে অপর আটককৃত শফিকুল ইসলাম সোহাগ খান ও ফারুক আলমকে আাদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার কারাগারে প্র্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মো. মর্তুজা আল নাহিয়ান সোহেল সিকদার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় সোহাগ ও পলাতক সোহেল সিকদার এবং ফারুক আলমকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজাপুর বাগড়ি ব্র্যাক সংলগ্ন একটি মোটর গ্যারেজের সামনে ফারুক আলমকে দেখে ঘেরাও করে তল্লাশী করা হয়। এ সময় তার প্যান্টের পকেট থেকে ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ফারুক আলম ইন্দ্রপাশা গ্রামের মৃত. মোখলেছ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। অপরদিকে ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজাপুর বাগড়ি পুরাতন পল্লী বিদ্যুতের ভবনে অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা এম মনিরুজ্জামান মনিরের ভাই ইকবাল হোসেন কামরুল, প্রিন্স তালুকদার ও মো. শফিকুল ইসলাম সোহাগ খানকে আটক করা হয়। সোহাগের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সোহাগ রাজাপুর বাজার এলাকার আঃ সোবাহান খান’র ছেলে।
এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছে বলে জানায় ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ছানোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজাপুরে দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৩৫পিস ইয়াবাসহ ২জনকে আটক করা হয়েছে। একজন পালিয়ে গেলেও তাকেসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্র্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সান নিউজ/আরকে/এনকে/এস