নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল: করোনাকালীন সময়ে রোগীর শরীরের স্যাম্পল সংগ্রহ করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর যাবে পাঠাতে অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া ভাউচার করার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. এস এম রমিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
রোববার মুঠোফোনে তিনি জানান, মেহেন্দিগঞ্জে অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই ও সাক্ষ গ্রহণ করছি। যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আমি চাই, নিরপেক্ষ একটি প্রতিবেদন দাখিল করবো। এই কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে কোন রাজনৈতিক চাপ নেই।
জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডা. জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহজনক রোগীর নমুনা সংগ্রহের পর বরিশাল নগরীতে প্রেরণের জন্য স্পিডবোট ভাড়া বাবদ প্রতিটি নমুনার বিপরীতে পাঁচ হাজার টাকা বিল করার অভিযোগ রয়েছে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম রমিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল করেন পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মশিউর রহমান।
সান নিউজ/এমএইচ/এনকে