নিজস্ব প্রতিনিধি, বরগুনা : সুদের টাকা দিতে না পেরে বরগুনা সদর উপজেলায় দুই সন্তানের জনক পলাশ (৩৭) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী বাড়ির সামনে একটি গাছের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে তার মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। দুপুরের দিকে পুলিশ মরদেহ সদরে নিয়ে যান।
পলাশ নলী বাজারে ট্রেইলাসের দোকানের ব্যবসা করে। মৃতুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।পলাশের মা বলেন, বরগুনা শহরের ডাক্তার সৌরভের কাছ থেকে পলাশ ৩ বছর আগে ৭ লাখ টাকা সুদে আনেন। এখন পর্যন্ত ডাক্তার সৌরভকে ১১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এখনো নাকি ৭ লাখ টাকা পাবে! ওই টাকা না দেওয়ায়, তিনি প্রতিদিন চাপ দিতেন। এ কারণে আমার ছেলে একটি চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে একই এলাকার সমাজসেবক সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, পলাশ একজন বিনয়ী মানুষ ছিলেন। আমি মনে করি সুদের কারণেই সমাজে আত্মসম্মানের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সমাজ থেকে এ রকমের সুদের ব্যবসা প্রতিহত করা উচিত। পলাশের মতো আর যেন কোনো মানুষ এ পথ বেছে না নেয়। এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আমরা মামলা নিবো।
সান নিউজ/পিডিকে/এস