নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় একটি জাম্বুরা গাছ থেকে আবির হোসেন বাবু (২৭) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নিলকন্ঠপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে।
নিহত যুবকের মা হোসনে আরা’র (৪৩) দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পূর্ব পরিকল্পিত ভাতে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য তাকে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর নিহতের স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিনকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ।
পরিবারের সদস্য ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আরশাদ আলী আমিন এর বিধবা মেয়ে দুই সন্তানের জননী ছাবিনা ইয়াসমিন (৩৬) এর সাথে প্রায় ৬/৭ মাস পূর্বে পাশ্ববর্তী নীলকন্ঠপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে আবির হোসেন বাবুর বিয়ে হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৃষ্ট পরিবারিক বিবাদের কারণে গত কয়েকদিন যাবত তাদের মধ্যে ডিভোর্সের কথাবার্তা চলছিল। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা নিহত বাবুর শ^শুরবাড়ির পাশে একটি জাম্বুরা গাছের ডালে ওড়না সাহায্যে ঝুলানো মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসেন ও দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেলে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইয়াছিন আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। মৃতদেহের দু’পায়ের নখ ও পুরুষাঙ্গে আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে নিহতের চাচা মোহাম্মদ ওমর আলী মোল্যা (৭০) জানান, তার ভাতিজা আবির হোসেন বাবুকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে মারার পর গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তার পা মাটিতে স্পর্শ করা ছিল। শরীরের অনেক স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসেন জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করা হয়েছে।
সান নিউজ/এমআই/এস