নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরিদপুর : বৃহত্তর ফরিদপুরের একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ইতিমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে।
করোনার শুরুর দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনটিকে করোনা ডেডিকেটেড হিসাবে ঘোষণা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১শত বেডে চিকিৎসা দেওয়া হয় কোভিড-১৯ রোগীদের।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রথম ধাপে ফরিদপুর জেলায় ৯৪ জনের মৃত্যু হয়, এছাড়াও আক্রান্ত হয় সাড়ে ৭ হাজার মানুষ। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ২৭শ জনেরও বেশি।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, অবস্থা বিবেচনায় সম্ভাব্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। তিনি জানান, ১৬ শয্যার আইসিইউ বেড, ১শ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড, ৪ শতাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ফ্লোমিটার, মাস্ক-পিপিইসহ পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী মজুত রয়েছে আমাদের। এছাড়াও জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় ১৫টি হাইফ্লো নোজাল ক্যানেলা ও প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ঔষধ মজুত আছে বলে জানান হাসপাতালের কর্মকর্তারা। চিকিৎসকের সংকটের কথা স্বীকার করে এই কর্মকর্তা আরো বলেন, করোনার প্রাদূর্ভাব বাড়লে সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় করে সংকট মোকাবেলা করা হবে।
করোনা শুরু থেকে এই পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলাসহ আশেপাশের জেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এর বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ হাজার ৩শ জন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা দ্বিতীয় দফার করোনা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। শুধু জেলা নয় উপজেলা হাসপাতাল গুলোকেও সক্রিয় করার জন্য বলা হয়েছে।
সান নিউজ/বিডি/এনকে/এস