নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতিকালীন সময়ে চিকিৎসার অভাবে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয় তলায় সার্জারি বিভাগের ৯ নং ওয়ার্ডে সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ওই নারী মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বামী সেকেন্দার আলী হাওলাদার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন।
জানা গেছে, কাউনিয়া থানার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা সেকেন্দার আলী হাওলাদারের স্ত্রী নাসিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে পেপটিক আলসারে ভুগছিলেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে ৩০ অক্টোবর বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানের চিকিৎসক ওই নারীর উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গুরুত্বর অসুস্থ নাসিমাকে। প্রথমে তাদের চতুর্থ তলার মেডিসিন বিভাগের ৫ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাতে জখম থাকায় নাসিমা বেগমকে ১ নভেম্বর তৃতীয় তলায় সার্জারি বিভাগের ৯ নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
সেকেন্দার আলী জানান, শনিবার ইমার্জেন্সীতে নিয়ে আসার সময়ে ডাক্তার যে ওষুধ দিয়েছে সেই ঔষধই টানা তিন দিন চলেছে। ওয়ার্ডে রোগী নেওয়ার পর থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও কোন ডাক্তার দেখতে আসেনি। নার্সদের কাছে পরামর্শ করতে গেলে তারা খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দিত।
সেকেন্দার আলী আরও বলেন, আমরা যেদিন ভর্তি হয়েছি সেদিন দেখেছি ডাক্তাররা তাদের রুমে তালা মেরে চলে গেছেন। ডাক্তাররা চিকিৎসা না দিয়ে আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। তারা চিকিৎসা দিলে কোন সমস্যা হতো না বলে মনে করেন তিনি।
মৃত নাসিমা বেগমের পুত্রবধূ সুমাইয়া বেগম বলেন, আমরা অনকে অনুরোধ করেছি একজন ডাক্তার, নার্সকে এসে আমাদের রোগীকে দেখে যাওয়ার জন্য। কিন্তু কেউ আসেনি। অসহায়-পাগলের মত তিনদিন ডাক্তার নার্সদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছি হাসপাতালে। কিন্তু কেউ আসেনি।
হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, চিকিৎসার অভাবে কেউ মারা গেছে এমন অভিযোগ জানা নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
সান নিউজ/এমএইচ/এস