নিউজ ডেস্ক : প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আসেনি দেশের সবচে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। ফলে বন্দরে আমদানি রফতানি পণ্য চুরি, বারবার ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা।
দীর্ঘদিন ধরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তবে শিগগিরই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দেশের আমদানি রফতানির সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক ও যানবাহন যাতায়াত করে এ বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি এবং ৮ হাজার কোটি টাকার রফতানিও হয়ে থাকে।
কিন্তু এখনও বন্দরটিতে স্থাপন করা হয়নি সিসিটিভি ক্যামেরা। গত এক যুগে এ বন্দরে ৭টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য পুড়ে যায়। এছাড়া পণ্যাগারে ককটেল বিস্ফোরণসহ নিরাপত্তাকর্মী হত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বন্দরকে সিসি টিভির আওতায় না আনায় হতাশ ব্যবসায়ী নেতারা।
বন্দরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, অপরাধীদের সুযোগ করে দিতেই এখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে না বন্দর কর্তৃপক্ষের শীর্ষ অসাধু কয়েকজন কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত মাসোহারাও নিয়ে থাকেন এসব কর্মকর্তা। মূলত তাদের খামখেয়ালিপনাতেই গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর এখনও সিসি ক্যামেরার বাইরে রয়ে গেছে। তবে, ব্যক্তি উদ্যোগে কোনো কোনো ব্যবসায়ী তাদের নিজ প্রতিষ্ঠানে ক্যামেরা বসিয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, সিসি ক্যামেরা না থাকার কারণে বিভিন্ন সময় মালামাল চুরি থেকে শুরু করে নানা সমস্যা হয়।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, সিসি ক্যামেরার জন্য আমরা বার বার বলেছি, কিন্তু গড়িমসি করেই চলছে। তবে শিগগিরই সিসিটিভি স্থাপনের কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল স্থলবন্দর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করতে পারব। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
সান নিউজ/এম