নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি : কাপ্তাই হ্রদে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ উৎপাদন যাতে আরো বেশি বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী উপকেন্দ্র রাঙামাটি শাখা অফিসে মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদ শুধু পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির সম্পদ নয়। এটা পুরো দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এর রক্ষণাবেক্ষণ, দূষণ রোধ এবং দখলদারিত্ব সব ব্যাপারে অবগত আছি। যত দ্রুত সম্ভব, হ্রদটিকে জঞ্জালমুক্ত করা হবে। কারণ হ্রদটির উপর হাজার-হাজার জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য ব্যবসায়ীরা নির্ভরশীল। পুরো জেলার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো কাপ্তাই হ্রদ। সরকার প্রতিবছর এ হ্রদের মৎস্য আহরণ থেকে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে। তাই হ্রদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ, রাঙামাটি বিএফডিসি ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান।
এর আগে মন্ত্রী সকালে রাঙামাটিতে আসার পর তাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অর্নার দেওয়া হয়। এরপরই মন্ত্রী বিএফডিসি রাঙামাটি শাখা ও বিএফআরআই রাঙামাটি শাখা অধিদপ্তরগুলোর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
সান নিউজ/এসএ